ফ্রান্সের বিরুদ্ধে দলে পরিবর্তনের সম্ভাবনা, আর্জেন্টিনার সম্ভাব্য একাদশ

নাইজিরিয়াকে গ্রুপের শেষ ম্যাচে কোনও মতে হারিয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছে আর্জেন্টিনা। অন্য দিকে গ্রুপ শীর্ষে থেকে প্রি কোয়ার্টারে পৌঁছায় ফ্রান্স।

আজ শনিবার কাজানে রাশিয়া বিশ্বকাপের নক আউট পর্বের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্স। এই ম্যাচে প্রথম একাদশে পরিবর্তন করতে পারেন সাম্পাওলি। আনন্দ বাজার পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ি, দেখে নেওয়া যাক মেসিদের সম্ভাব্য প্রথম একাদশ।

ফ্রাংকো আরমানি:
কাবালেরোর জায়গায় নাইজিরিয়া ম্যাচে দলে এসেছেন আরমানি। প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচেই ভাল পারফর্ম করেছেন রিভারপ্লেটের ৩১ বছরের এই গোলরক্ষক।

মার্কস রোহো:
নাইজিরিয়া ম্যাচে তার শেষ মুহূর্তের গোল আর্জেন্টিনার মান বাঁচিয়েছে। ডিফেন্সেও খারাপ খেলছেন না ২৮ বছরের এই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবলার।

গ্যাব্রিয়েল মার্কাদো:
সেভিয়ার এই রাইট ব্যাক খেলতা পারেন সেন্ট্রাল ডিফেন্স পজিশনেও। ২০১০ সালে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক ঘটা এই ডিফেন্ডার দেশের হয়ে ২২টি ম্যাচ খেলেছেন।

নিকোলাস ওটামেন্ডি:
২০০৯ সালে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের পর থেকে আর্জেন্টিনার হয়ে ৫৯টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন ম্যানচেস্টার সিটির এই সেন্টার ব্যাক। দু’টি বিশ্বকাপ এবং কোপা আমেরিকায় দলের সঙ্গে থাকা অভিজ্ঞ ওটামেন্ডি আর্জেন্টিনা ডিফেন্সের বড় ভরসা।

নিকোলাস তালিয়াফিকো:
দুরন্ত স্ট্যামিনার জন্য ২৫ বছরের তরুণ এই ডিফেন্ডারকে জাভিয়ের জানেত্তির সঙ্গে তুলনা করা হয়। আয়াখসের এই লেফট ব্যাক আর্জেন্টিনার হয়ে মাত্র ৭টি ম্যাচ খেলেছেন। দেশের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৫, ১৭ এবং ২০ পর্যায়ে খেলেছেন তিনি।

এভার বানেগা:
সেভিয়ার এই মিডফিল্ডারের উপর আজ নির্ভর করবে মেসির ওয়ার্কলোড কমানোর। নিইজিরিয়ার বিরুদ্ধে মেসিকে গোলের ক্রস বাড়িয়েছিলেন তিনিই।

হ্যাভিয়ের মাচেরানো:
দলের অন্যতম এই প্রবীণ ফুটবলারের অভিজ্ঞতা আজ বড় ভরসা সাম্পাওলির। গত ম্যাচে রক্তাক্ত অবস্থাতেও তার খেলা চালিয়ে যাওয়া আর্জেন্টিনা দলের বর্তমান বিশ্বকাপ অভিযানকেই ইঙ্গিত দিচ্ছিল যেন।

এনজো পেরেজ:
রিভার প্লেটের এই সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার যোগ্যতা পর্বে ছ’টি ম্যাচ খেললেও গ্রুপ পর্যায়ে সব ম্যাচে সুযোগ পাননি। দলীয় সূত্রে খবর, সামান্য চোট রয়েছে পেরেজের। তবে তাতে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে মাঠে নামা আটকাবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

এঞ্জেল ডি মারিয়া:
বিশ্বকাপে একেবারেই ছন্দে দেখা যাচ্ছে না এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারকে। রিয়াল থেকে ম্যান ইউ হয়ে প্যারিস সঁ জঁয়ে খেলা মারিয়া যেন অতিতের ছায়া। আর্জেন্টিনার হয়ে প্রায় একশো ম্যাচ খেলে ফেলা মারিয়াকে গত ম্যাচে তুলে নিতে বাধ্য হন সাম্পাওলি। তবে আজ প্রথম দলে তার থাকার সম্ভাবনাই বেশি।

লিওনেল মেসি:
আজ সারা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের চোখ থাকবে তার দিকেই। গত ম্যাচে দুরন্ত গোল করে ফ্রান্সের চিন্তা আরও বাড়িয়ে রেখেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই স্ট্রাইকার।

গঞ্জালো হিগুয়াইন:
তেমন ফর্মে না থাকলেও তাকে দিয়েই আজ শুরু করতে পারেন সাম্পাওলি। গ্রুপ পর্বে একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন এই স্ট্রাইকার। আজ ফ্রান্সের বিরুদ্ধে তার জাত চেনানোর দিন।